ফলো অনে পড়ার পর ৪ উইকেট ৬৬ রান। জয় তো নয়ই, ম্যাচ বাঁচানোই কঠিন। অসম্ভবও নয়। যদিও পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, চোখ রাঙাচ্ছে হার। এড়াতে পারবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্ন নিয়ে মিরপুর টেস্টের শেষদিনে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে টাইগাররা।
অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রানের জুটিতে লড়ছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। লিটন ২৭ রানে ও মুশফিক ১৬ রানে ব্যাট করছেন। প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনও ১৪১ রানে পিছিয়ে, খেলা বাকি দুটো সেশনের।
সাকিব, মিরাজ এখনও ব্যাটে আসা বাকি। ক্রিজে আসা বাকি তিন বোলার তাইজুল, ইবাদত ও খালিদের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ানোর লড়াই শুরু হয় বুধবার দিনের খেলার শুরুতেই। সকাল সকাল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সফরকারীদের প্রথম ইনিংস থেকে ২১৪ রান পিছিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা।
ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে শুরুটা হয়েছে পুরো সিরিজের মতোই নড়বড়ে। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের পর সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তও।
জয় ৬ রান করে বোল্ড হন হাসান আলির বলে। ২ রান করা সাদমানকে এলবিডব্লিউ করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৭ রান করে মুমিনুল হন হাসানের দ্বিতীয় শিকার। বাঁহাতি ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ। ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানালে নষ্ট হয় রিভিউ।
সকালে পঞ্চম দিনের শুরুতেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। শেষ তিন ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন দ্রুতই। ইবাদত হোসেনকে নিয়ে শেষ জুটিতে প্রতিরোধের আভাস দিয়ে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। কাভারে তুলে দেন সহজ ক্যাচ। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৭ রানে।
দেশের মাটিতে এটিই সর্বনিম্ন ইনিংস বাংলাদেশের। ৭৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কায় চতুর্থ দিন পার করেছিল স্বাগতিকরা। শেষদিনের সকালে মাত্র ১১ রান যোগ করে ৩০ মিনিটেই গুটিয়ে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে লড়ছে। সাকিব সর্বোচ্চ ৩৩ ও নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩০ রান।
পাকিস্তান অফস্পিনার সাজিদ খান ৪২ রানে শিকার করেছেন ৮ উইকেট। নুমান আলি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন একটি করে উইকেট।
চতুর্থ দিনে ফাওয়াদ আলম ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ততক্ষণে সফরকারীরা ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩০০ রান। বৃষ্টির কারণে ছোট হয়ে এসেছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। তাই বেশি সময় ব্যাট করেনি পাকিস্তান। চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতির ঘণ্টাখানেক পরই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন বাবর আজম।