বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে বুধবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: সাজাপ্রাপ্ত এবং বিদেশে পলাতক একজনকে বিএনপির চেয়ারপার্সন করা হলো! বিএনপি নাকি এতো বড় একটি দল, তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো দেশে কেউ ছিল না? একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে চেয়ারপার্সন করা তাদের দেউলিয়াত্ব ছাড়া আর কিছু না।
শেখ হাসিনা বলেন: একজন মানুষ যখন কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়, তখন সে যে দেশের নাগরিক সে দেশের পাসপোর্ট জমা দিয়ে দিতে হয়। এরপরই তাকে ওই আশ্রয় প্রদানকারী দেশে আশ্রয় দেয় এবং সে দেশের পাসপোর্ট প্রদান করে। এই পাসপোর্ট দিয়ে সারা বিশ্বে ওই ব্যক্তি যেতে পারবে। শুধু সে যে দেশ থেকে এসেছে তার দেশ বাদে। এমন একজন মানুষকে তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব দেয়!
বিএনপির নির্বাচনে আসা না আসার বিষয়ে বিভিন্ন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন: আমাদের এখানে কী করার আছে? আমি তো বলতে পারি না, নির্বাচনে না আসলে জেলে পাঠাবো! এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। না আসলে জোর করে নির্বাচন করাতে পারবো না।
এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন: তারা বলছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া তারা নির্বাচনে আসবে না। আমরা কথা হলো আমরা কি খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছি? সাজা দিয়েছে আদালত। বিএনপির এতো বড় বড় আইনজীবী ছিলেন, তারা দশ বছরে প্রমাণ করতে পারলেন না তাদের নেত্রী এতিমের টাকা মেরে খান নাই।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তার সফরের বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
এসময় কমনওয়েলথ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক অর্জনের কথা তিনি তুলে ধরেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বনেতাদের প্রশংসা পাচ্ছে বাংলাদেশ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সমুদ্র গবেষণায় সহায়তা এবং বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সফরের বিস্তারিত তুলে ধরার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।