চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

তারেক মাসুদের মৃত্যু: ক্ষতিপূরণের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি ৮ অক্টোবর

সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি ৮ অক্টোবর।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঘাতক বাস মালিকদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ চেম্বার বিচারপতির আদালত বিষয়টি আগামি ৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

আদালতে বাস মালিকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। নিহত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। আর রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার রায়ে তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।

ক্ষতিপূরণের টাকার মধ্যে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে ৮০ হাজার টাকা, বাস চালককে ৩০ লাখ এবং বাকি চার কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫২ টাকা বাসের তিন মালিকেকে দিতে রায়ে বলা হয়।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের সিইও মিশুক মুনীরসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী। চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ এই ঘটনায় বাদী হয়ে একটি মামলা করে।

২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।

পরে পরিবারের দায়ের করা ক্ষতিপূরণ মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মামলা দুটি বদলির আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।

এরপর বিষটির উপর শুনানি নিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্ষতিপূরণের রায় ঘোষণা করেন।