মুক্তিযুদ্ধে ও দেশের বিভিন্নক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একাত্তরের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি (বীর প্রতীক)সহ পনেরো গুণী ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সপ্তাহব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধ নাট্যোৎসব’ এর অংশ হিসেবে উদ্বোধনীর দিন ২৫ মার্চ রাত নয়টায় এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়- বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রথম নারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, প্রথম নির্বাচিত নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী ড. মো. মতিউর রহমান, গল্পকার লাসিমা শিরীন হোসাইন, ক্যান্সার ঔষধ প্রস্তুতকারক বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবাদুল করিম বুলবুল এবং পদাতিক নাট্য সংসদকে, টিএসটি (ঢাবি)।
মরণোত্তর সম্মননা পেয়েছেন প্রয়াত নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও উপমহাদেশের কিংবদন্তী অভিনেতা প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদী, আবদুল্লাহ আল মামুন ও কবি সৈয়দ শামসুল হক।
সম্মাননা পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে সোনার বাংলা স্বাধীন করেছি। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায় নাই, কেবল শুরু হয়েছে। আমরা যদি দেশ স্বাধীন না করতাম তাহলে আজ আমাদের অমানুষদের পাশে থাকতে হতো। তারা আমাদের মানুষ বলে মনে করত না।’
অনুষ্ঠান শেষে পদাতিক নাট্য সংসদ (টিএসসি) এর পরিচালনায় নাটক ‘কালরাত্রি’ মঞ্চায়ন করা হয়।