চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তারাবিহ নামাজের মধ্য দিয়ে মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রথম তারাবিহ নামাজের মধ্য দিয়ে মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। শনিবার এশার নামাজের পরে তারাবিহ নামাজ পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এর মাধ্যমেই শুরু হলো মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি আর সংযমের পবিত্র মাস মাহে রমজান। আজ ভোর রাতে (রোববার) সেহরি খেয়ে প্রথম রোজা রাখা হবে।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজান শুরু হয়েছে শনিবার। পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

শনিবার প্রথম তারাবির নামাজ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ পাড়া- মহল্লার কোনো মসজিদেই তিল ধারণের জায়গা নেই। বেশ কিছু মসজিদে বাইরে সামিয়ানা টাঙিয়ে তারাবির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কোনো কোনো মসজিদের আঙিনা ছাড়িয়ে রাস্তায় জায়নামাজ, চাদর ও পাটি বিছিয়ে মুসল্লিদের তারাবিহর নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও রমজান মাসে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে খতম তারাবিহ হয়েছে।

আজ প্রথম দিনে পবিত্র কোরআনের প্রথম পারা থেকে পাঠ শুরু করে প্রথম দেড় পারা পর্যন্ত পড়া হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমিটি সূত্র জানায়, খতম তারাবিহ নামাজে ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দেড় পারা করে মোট ৯ পারা শেষ হবে। সপ্তম তারাবিহ থেকে ২৭তম তারাবি পর্যন্ত প্রতিদিন এক পারা করে পাঠের মাধ্যমে ৩০ পারা পবিত্র কোরআন শরিফ খতম হবে।

তারাবি নামাজ সর্ম্পকে বিশিষ্ট আলেমগণ জানান, রমজান মাসের জন্য নির্দিষ্ট তারাবিহ নামাজ জামাতে পড়া ও সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার খতম করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে তারাবিহ নামাজ পড়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে পড়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তারাবি নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা ও কোরআন শরিফ খতম করা অধিক সওয়াবের কাজ। তবে ঘরে সূরা-কিরাতের মাধ্যমে আদায় করলেও সওয়াব পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবি নামাজের জন্য রাতের কোনো বিশেষ সময়কে নির্দিষ্ট করে দেননি। তবে তারাবিহ নামাজ অবশ্যই এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের আগে আদায় করতে হবে।

পবিত্র এই রমজান মাসেই নাজিল হয়েছিল পবিত্র কোরআন শরীফ। হাদিসে আছে, এ মাসে যে কোনো নফল ইবাদত ফরজের সমান আর ফরজে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। মুসলমানরা এই এক মাস সিয়াম সাধনার পাশাপাশি দান খয়রাতসহ বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও করুণা লাভে সচেষ্ট থাকেন। রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, মাঝের ১০ দিন মাগফেরাতের আর শেষের ১০ দিন নাজাতের।