স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস কিংবা একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমরা নানাজনের নানা ভাবনা শুনে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা তারকাদের পরবর্তী প্রজন্মের মুখে স্বাধীনতা দিবসের গল্প শুনব।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে জানতে আমরা কথা বলেছি অভিনয়শিল্পী দীপা খন্দকারের ছেলে ‘অাদ্রিকের’ সঙ্গে। দীপা খন্দকারের ছেলে আদ্রিকের বয়স ৯ বছর। সে সানবিমস স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। কথার শুরুতেই বললো, আমি মা’র কাছে শুনেছি স্বাধীনতা দিবসের গল্প।
স্বাধীনতা দিবস কবে জানতে চাইলে সে ঝটপট উত্তর দিল ‘২৬ মার্চ।’ ওইদিন কী হয়েছিল তা কি তুমি জানো? বলতেই অনর্গল বলতে থাকলো স্বাধীনতা দিবসের গল্প…১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্থানি সেনারা ঢাকার ঘুমিয়ে থাকা মানুষদের ওপর গুলি চালায়। তখন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। আমি বঙ্গবন্ধু, জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ আর মুক্তিযুদ্ধের অনেক ছবি এঁকেছি। জাদুঘরে গিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনেক ছবি আমি দেখেছি।
স্বাধীনতা দিবসে তুমি কী করো? সে বললো, ‘মা ফ্রি থাকলে লাল-সবুজ ড্রেস পড়ে মার সঙ্গে ঘুরতে বের হই। এবার ড্রেস কিনেছি। ড্রেস পড়ে পতাকা হাতে নিয়ে মার সঙ্গে ঘুরতে যাব।’ ছেলেকে নিয়ে দীপা খন্দকার বলেন, ‘আমি আসলে ছেলেকে এই মুহূর্তে কিছু শিখিয়ে দিতে চাইনি, সে যতটুকু জানে ততটুকুই নিজের মতো করে বলেছে।’
অভিনয়শিল্পী বাঁধনের মেয়ে শায়রার বয়স ৫। সে সানবিমস স্কুলে নার্সারিতে পড়ে। আজ স্বাধীনতা দিবস এটাও জানে শায়রা। তার আধো আধো মুখের বুলিতে বলে, ‘এদিন থেকে যুদ্ধ করে সবাই দেশ স্বাধীন করে।’ প্রথমে লজ্জা পেলেও এরপর সে নিজের মতো গল্প বলতে থাকে, ‘আজ আমি আর মা লাল-সবুজ ড্রেস পড়ে গ্রামে নানাবাড়িতে ঘুরতে যাব। স্কুলের রিফফাত মিস বলেছে, লাল-সবুজ ড্রেস পড়লে আমাকে বাংলাদেশের পতাকার মতো লাগে। তার মা বাঁধন বলেন, ‘শুধু স্কুলে নয়, বাড়িতে এসে তার কাছে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নেয় এসব প্রশ্নের উত্তর।’ সবশেষে শায়রা বলে, ‘আমি বাংলাদেশকে আরও সুন্দর করব।’
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে আরও কথা বলেছে অভিনয়শিল্পী রুনা খানের মেয়ে রাজেশ্বরী। সে সানবিমস স্কুলে কেজি টু তে পড়ে। একুশ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ সব বিষয়ের সাথে সে পরিচিত। স্বাধীনতা দিবস কী? হেসে বললো, ‘এটা তো সবাই জানে। আমিও জানি। নানু আর মার কাছে আমি এসব গল্প শুনেছি।’ স্বাধীনতা দিবস কবে জানতে চাইলে মুহূর্তেই সে বলল, ‘২৬ মার্চ।’ তারপর সে নিজেই বলতে লাগলো এদিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। তারপর নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়। আর বঙ্গবন্ধুর পুরো নাম শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতা দিবসে মার শুটিং না থাকলে মার সঙ্গে লাল-সবুজ ড্রেস পড়ে সে ঘুরবে বলে জানায়। রুনা খান বলেন, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি বাচ্চা যেন দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জেনে বড় হয়।’
ছবি : সংগৃহীত