ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে টাকার ঝনঝনানি প্রবল! দলগুলো অতিরিক্ত খেলোয়াড় কিনে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখেন। অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড়েরও তাতে একাদশে সুযোগ মেলে না। দর্শক হয়ে কেটে যায় টুর্নামেন্ট। কিন্তু পেশোয়ার জালমিতে একসঙ্গে একাদশে দুজন বাংলাদেশি। তারা এমনই দুর্দান্ত পারফর্মার যে একজনকেও বসিয়ে রাখার বিলাসিতা করতে পারেনি পেশোয়ার। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান অবশ্য দলটির সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। একইদিনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ দুজনেই।
শনিবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে নেমেছিল পেশোয়ার জালমি। তামিম ও সাকিব খেলেন পেশোয়ারে। কিন্তু এদিন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি দুজনের কেউই। তামিম ৮ বলে ৪ ও সাকিব ৭ বলে ৫ রানে ফিরেছেন। দুজনই ক্যাচ দিয়েছেন। দলীয় সংগ্রহে সম্মিলিত অবদান ৯!
দুই টাইগারের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে চাহিদা মেটাতে পারেননি কামরান আকমল ১৯, মোহাম্মদ হাফিজ ১০, ইয়ন মরগান ২৮, ড্যারেন স্যামি ২০ ও শহিদ আফ্রিদির ১৭ মতো নামগুলোও। পেশোয়ারও তাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড সেটি টপকে গেছে নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে। তবে জয়ে নোঙর ফেলার সময় অক্ষত ছিল ৫ উইকেট। ডোয়াইন স্মিথই মূলত কাজটা সেরে দেন। এই ক্যারিবীয় ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৫৯ বলে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ব্যাটিং ধূসরতার দিনে বল হাতে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন সাকিব। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে মিসবাহ-উল-হকের মূল্যবান উইকেটটি তুলে নিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার। ৫ ম্যাচে দুটি করে জয়-পরাজয় ও একটি পয়েন্ট ভাগাভাগিতে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পেশোয়ার এখন টেবিলের তিনে থাকল।