কোর্টনি ওয়ালশ এবং কার্টলি অ্যামব্রোস। নামে তাদের মাঝে কিছুটা মিল; ভারে পুরোপুরিই। এখন তো কাজেও। ওয়ালশ বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ, অ্যামব্রোস নিজ দেশের বোর্ডের কোচ।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে অ্যান্টিগায় উইন্ডিজ বোর্ড একাদশের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানেই পুরনো দুই বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন একে অন্যের প্রতিপক্ষ। লড়াইয়ে অবশ্য কেউ জেতেনি। ড্র হয়েছে দুইদিনের ম্যাচটি। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও প্রস্তুতি ভালো হয়েছে সাকিব আল হাসানের দলের।
কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দুই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তিকে একসঙ্গে পাওয়ার উপলক্ষ স্মরণীয় করে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতার দুজন মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে হাসিমুখের ছবি পোষ্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
আর ওয়ালশ-অ্যামব্রোসের ছবি টুইটারে পোষ্ট করেছে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। ক্যাপশনে লিখেছে, ক্যারিবিয়ান দুই কিংবদন্তি পেসার এবার মুখোমুখি। দুজন দুই দলের কোচের ভূমিকায়।
খেলোয়াড়ি জীবনের দুই সতীর্থ-বন্ধু
নব্বইয়ের দশকে ওয়ালশ-অ্যামব্রোস বোলিং জুটি ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। এখন পেশাদার কোচ। অ্যামব্রোসের চেয়ে বয়সে এক বছর বড় ওয়ালশ। উইকেট সংগ্রহেও এগিয়ে। ১৩২ টেস্টে ওয়ালশ নিয়েছেন ৫১৯ উইকেট। সম্মানসূচক ‘স্যার’ উপাধি পাওয়া অ্যামব্রোসের, ৯৮ ম্যাচে ৪০৫ উইকেট।
কেমন হল বাংলাদেশের প্রস্তুতি?
উইন্ডিজ পেসারদের সামনে শুরুতে একটু ধুঁকেছে বাংলাদেশের টপঅর্ডার। তবে সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেছেন সেঞ্চুরি। ১১ মাস পর সাদা পোশাকে নাামা সাকিব আল হাসান পেয়েছেন ফিফটি। তাতে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪০৩ রানে।
অন্যদের ব্যাটিংয়ে সুযোগ করে দিতে তামিম ১২৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১০২ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে যান।
শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ৩১০ রানে প্রতিপক্ষের ৮ উইকেট তুলে নেয় টাইগার বোলারররা। পেস কন্ডিশনে উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের চার পেসারই। আবু জায়েদ রাহি নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও শফিউল ইসলাম।
স্পিনারদের মধ্যে সাফল্য পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক। তবে দলের মূল তিন স্পিনার সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম পাননি উইকেটের দেখা।