জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটের যে অবস্থা, আগে ব্যাট করে দুইশো তুলতে না পারলে জয়ের কথা চিন্তা বেশ ঝুঁকির। মঙ্গলবারই যেমন সিলেট থান্ডারের ১৭৪ রানকে পাত্তাই দিল না ঢাকা প্লাটুন। তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসানের বেধড়ক পিটুনিতে সহজেই মোসাদ্দেকের দলকে হারিয়েছেন মাশরাফীরা।
জনসন চার্লস ও মোহাম্মদ মিঠুন মিলে এনে দিয়েছিলেন দারুণ সংগ্রহ। পাল্টা জবাব দিয়েছেন তামিম-মেহেদী। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি। ১৭৪ রানের জবাবে ৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে সহজে জয় তোলে ঢাকা।
প্রথম বলেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে দেন মেহেদী। সেই ধাক্কা বুঝতে দেননি আরেক ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস। উইকেটে এসে শুরু থেকে তুলেছেন ঝড়। ৩৮ বলে ৫১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদের অবদান ১০ বলে মাত্র ৮।
জুটি ভেঙ্গে মজিদ ফিরে গেলে উইকেটে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এ ব্যাটসম্যানকে পেয়ে আরও ধারাল হয় চার্লসের ব্যাট।
শেষপর্যন্ত একাদশ ওভারে চার্লসকে ফেরান পাকিস্তানি পেসার শাদাব খান। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান যখন ফিরছেন, দলের রান ৯৩ আর, আর তার একারই ৭৩। ৪৫ বলের ইনিংসে ৮ ছক্কার সঙ্গে চারের মার যাতে ৩টি।
চার্লস ফেরার পর রান তোলার দায়িত্ব নেন মিঠুন ও শেরফানে রাদারফোর্ড। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৬৩ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। ৩১ বলের ইনিংসে মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি পাননি মিঠুন। ৪ ছক্কার সঙ্গে কেবল একটি চারের মার তাতে। ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন রাদারফোর্ড।
এমন রান তুলেও ঢাকাকে টলাতে পারেনি সিলেট। দুই ওপেনার এনামুল হক ও তামিম মিলে শুরুতে এনে দেন ৫৮ রান। ২৩ বলে এনামুল ৩২ করে ফেরার পর তামিমের সঙ্গী হন নতুনরূপে নিজেকে পরিচিত করা অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান।
উইকেটে এসেই হাত খুলে ব্যাটিং করেছেন মেহেদী। কুমিল্লার বিপক্ষে ২৯ বলে ৫৯ করেছিলেন, ফিফটি পেয়েছিলেন মাত্র ২২ বলে। সিলেটের বিপক্ষে তিনে নেমে ফিফটি তুলে নেন ডানহাতি তারকা, সেটাও আবার ২৩ বলে।
৩ ছক্কা ও ৫ চারে ২৮ বলে ৫৬ রান করা মেহেদীকে থামান ইবাদত হোসেন। তামিম থামেননি। ৪৯ বলে ৬০ রান তুলে দলকে জিতিয়েই ফিরেছেন চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে। ২ ছক্কার সঙ্গে ৫ চার ছিল ইনিংসে।