তামিম ইকবালের পিঠের সমস্যা ধরা পড়েছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। অথচ ওয়ানডে অধিনায়কের চোটের খবরটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে। বোর্ডের মেডিকেল বিভাগের ওপর তাই বেজায় চটেছেন তিনি। চিকিৎসায় অবহেলার আভাস পাচ্ছেন নাজমুল হাসান। জানিয়েছে করা হবে তদন্ত।
একই প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, এমনটি যেন আর কারো সঙ্গে না হয়।
পিঠের সমস্যার কারণে এশিয়া কাপে খেলা হবে না তামিমের। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে টাইগার ওপেনারকে মাঠের প্রস্তুতিতে নয়, সুস্থতার জন্য অপেক্ষা করেই সময় কাটাতে হবে। ফিট না থাকায় ওয়ানডে দলের নেতৃত্বও ছেড়ে দিয়েছেন। আরেকটু হলে ক্যারিয়ারও থমকে যেতো। চিকিৎসা সঠিকভাবে না হওয়ায় আক্ষেপ ঝরেছে তামিম ও নাজমুল হাসানের কণ্ঠে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘তামিম কিন্তু ঢাকাতেও এমআরই, স্ক্যান যা যা করার করেছে। আমার জানামতে ভারতে করেছে, ব্যাংককে করেছে, নিজে থেকে লন্ডনেও করিয়েছে। অনেকবারই তো করা হয়েছে। এইবারই প্রথম শুনলাম এই অবস্থা। কেন আমাকে জানানো হয়নি।’
‘আমার তো মেজাজই খারাপ হয়ে গেল এই জিনিসটা জানার পর। আমি যেটা মনে করি এটা আমাদের আরও তদন্ত করে বের করা দরকার। এই জিনিসটা যেভাবে আমাদেরকে প্রেজেন্ট করা হয়েছে আর বাস্তবতার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। ভবিষ্যত যেন কারো না হয়, সেটা তো আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমি জালাল ভাইয়ের (বিসিবি পরিচালক) সঙ্গে বসব। বের করতে হবে, এমন তো হওয়ার কথা না। ২০২২-এ যদি হয়ে থাকে তাহলে এত দিনে ভালো হয়ে যাওয়ার কথা, যদি সঠিক চিকিৎসা করা হতো। নিশ্চিত কোনো না কোনো অবহেলা করা হয়েছে। সেজন্য আজকে এত দিন পরে এসে বিশ্বকাপের ঠিক দ্বারপ্রান্তে এসে এটা শুনতে হচ্ছে। নইলে এমন হতো না।’
সোমবার লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরেন তামিম। ব্যথা প্রশমনে টাইগার ওপেনারের শরীরে পুশ করা হয় দুটি ইনজেকশন। আপাতত সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে। এশিয়া কাপে থাকতে না পারলেও বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ফিরতে আশাবাদী তামিম।