টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকরা যে দল চূড়ান্ত করেছেন, তাতে ছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার বুধবার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিশ্বকাপ খেলার জন্য সব খেলোয়াড়ই মুখিয়ে থাকেন, তামিম সরে দাঁড়িয়ে যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন সেটির প্রশংসা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ওপেনার হিসেবে তামিমই প্রথম পছন্দ নাজমুল হাসানের। তার আশা পরের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন টাইগার ওপেনার, ‘আমার দেখা সবচেয়ে সেরা ওপেনার তামিম। সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক, সেরা অধিনায়ক মাশরাফী। বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় সাকিব। তামিম যদি দলে আসে, সে সবসময় প্রথম পছন্দ, বাদ দেয়ার প্রশ্ন আসে না। একটা সমস্যা, তামিম অনেক দিন টি–টুয়েন্টি খেলছে না। নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়েতে টি–টুয়েন্টি খেলেনি। ওর ইনজুরি আছে। অনেকে প্রশ্ন করে, ও তাহলে ওয়ানডে খেলল কেন?’
‘ও ওয়ানডে অধিনায়ক, ঝুঁকি নিয়ে খেলেছে। সে এমনই, দায়িত্ব থাকলে সিরিয়াসলি খেলে। এখনকার দলটা ভালো খেলছে। হতে পারে আমাদের হোম কন্ডিশনে। যখন দল ভালো খেলে, খুব একটা দলে পরিবর্তন করতে চাই না। সব চিন্তা করে ও যেটা বলেছে, ভালো কথাই বলেছে। ও জানে স্কোয়াডে থাকলে সে খেলবেই। মনে করেছে এটা হলে অনেকের প্রতি অবিচার হতে পারে। যেহেতু লম্বা সময় খেলছে না, এই চোট থেকে ফিরে বিশ্বকাপ খেলাটা কঠিন।’
‘এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সে আমাদের প্রথম পছন্দ। এ বিশ্বকাপ দলেও ছিল। কিন্তু নিজের ঘোষণার পর এই স্কোয়াডে সে থাকবে না। আজ আমাদের যে দল দিয়েছিল, সেখানেও সে ছিল। কিন্তু যেহেতু প্রত্যাহার করে নিয়েছে এখন থাকবে না। সামনে আরও বিশ্বকাপ আছে, সে আবার খেলবে আশা করি। সিদ্ধান্তটা সহজ নয়, এটা সাহসী সিদ্ধান্ত। সবাই বিশ্বকাপ খেলতে চায়।’
দীর্ঘদিন ধরেই টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের বাইরে তামিম। চোট তাকে খেলতে দেয়নি সবশেষ তিন সিরিজে। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ওপেনার বুধবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সপ্তাহখানেক আগে।
প্রথমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা তামিম জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় জানিয়ে দেন সবাইকে।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ওপেনার মনে করেন, দীর্ঘ সময় টি-টুয়েন্টিতে না খেলে তার বিশ্বকাপ দলে সরাসরি থাকাটা যৌক্তিক নয়। বরং দেড়বছর যারা নিয়মিত খেলছে তাদের সাথে অন্যায় করা হতো। অক্টোবরে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপটির আসর।