ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজধানীর আশকোনায় তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক মুসল্লি।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দুপুরের পর যানবাহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা গেছে, মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের জোড় ইজতেমা করার চেষ্টা করলে দেওবন্দপন্থি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা তাতে বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষ শুরুর পর তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম আলম বলেন, পূর্বপাশের রাস্তা দখল করে আছে মাওলানা জোবয়ের গ্রুপ। আর পশ্চিমপাশের রাস্তা দখলে নিয়েছে সাদ গ্রুপ। তবে দুই লেন দিয়ে ধীরে ধীরে যান চলাচল করছে।
তাবলিগ জামাত সূত্রে জানা গেছে, নেতৃত্ব নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের সমর্থকদের দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এই বিরোধের মধ্যেই ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিনের জোড় (সম্মেলন) এবং আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা করার ঘোষণা দেন ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।
কিন্তু তাবলিগের দেওবন্দপন্থিরা ঘোষণা দেন, তারা ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় এবং আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের ইজতেমা করবেন।
শুক্রবার রাতে থেকে মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল করে আছে এমন খবরে সা’দ অনুসারীরা রাত থেকে ইজতেমা ময়দানে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সে সময় সাদবিরোধীদের কাছে থেকে তারা বাধা পায়। এরই পরিপ্রেক্ষতে সাদ বিরোধী পক্ষ বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নেয়।
এর আগে শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ঘিরে তাবলিগ জামাতের দু’টি পক্ষের কর্মসূচি ঘোষণা ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেজন্য ভোটের আগে ওই ময়দানে যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়।