কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠন।
শুক্রবার সকালে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভে অংশ নেন নিহত তানিয়ার ভাই কফিল উদ্দিন।
কটিয়াদী রক্তদান সমিতি নামে একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ. ছাত্রলীগ, সিপিবিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতির সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কে যানবাহন চলাচল। দুইপাশে দেখা দেয় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক এড. শাহ আজিজুল হক, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধালণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন, জেলা সিপিবির সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, নারীনেত্রী তানিয়া আক্তার হ্যাপিসহ অন্যরা।
এ সময় বক্তারা অবিলম্বে নার্স তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সকল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবি করেন। সেই সাথে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নেয়ার দাবি জানান।গত ৬ মে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ও ঢাকার কল্যাণপুর এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়া।
বাসটি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে আসার পর বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। কটিয়াদী থেকে পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় বাসের চালক ও সহকারিরা তানিয়ার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে তানিয়ার লাশ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে রেখে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই ৪ জনের নামে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বাসের চালক. হেলপারসহ ৫ আসামি বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে আছে।