চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘তাজমহলের মত অনন্য সংবিধান, সংশোধনের প্রয়োজনই ছিল না’

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ সংবিধান পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ষোলবার সংশোধন করা হয়েছে সংবিধান। এসব সংশোধনীর ফলে বাহাত্তরের সেই সংবিধান অনেকটাই হারিয়েছে তার মৌলিক চরিত্র।

বিজয় অর্জনের প্রথম বার্ষিকীতে কার্যকর হওয়া ওই সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। বাহাত্তরের সেই সংবিধান নিয়ে কথা বলেছেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে।

সংবিধান গৃহীত হওয়ার দিনে গণপরিষদে দেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সেদিন জাতির জনক বলেছিলেন, ‘‘শহীদের রক্তে লিখিত এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক হয়েই বেঁচে থাকবে।’’

চ্যানেল আই অনলাইনকে এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ৪ নভেম্বর আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের  সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয়। ওই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।

“বঙ্গবন্ধু সেদিন যে সংবিধানকে ‘সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন আজ ৪৬ বছর পর এসে আমি বলবো, আমাদের সংবিধান এখনো জনগনের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক। কিন্তু আমরা আমাদের পবিত্র সংবিধানের আলোকে এখন আর পরিপূর্ণভাবে চলছি না,  অনুসরণ করছি না!”

এম আমীর-উল ইসলাম

সেই সংবিধানে জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস করা হয়েছিল উল্লেখ করে এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘আমি বলবো, সারা পৃথিবীতে যতগুলো সংবিধান আছে তার মধ্যে আমাদের সংবিধান তাজমহলের মতই অনন্য।  জনগণকে সকল ক্ষমতার মালিক হিসেবে রেখেই এই সংবিধান ১৯৭২ সালে সাজানো হয়েছিল।

“আমাদের সংবিধানের তো কোন অপরাধ ছিল না! তবু বার বার সংবিধান সংশোধন করা হলো। আমি মনে করি, আমাদের সংবিধান সংশোধনের কোন প্রয়োজনই ছিল না।”

সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের যে কথা আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থেকে সংবিধানে নিহিত হয়েছিল তা আজো প্রতিষ্ঠিত হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে মানবতাবাদী রাজনীতি দিয়ে গিয়েছিলেন আজ তা আমাদের রাজনীতিতে অনুপস্থিত। চারিদিকে তাকালে এখন কেবলই  দেখা যায় সামাজিক-রাজনৈতিক বিভেদ আর দুর্নীতি।’

“তবু বলবো, আমাদের পবিত্র সংবিধানকে আমাদেরই মর্যাদা দিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। আর তাতেই এগিয়ে যাবে আমাদের সমাজ- রাষ্ট্র আর দেশ।”