আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে স্পিনারদের ওপরই ভরসা রেখেছে বাংলাদেশ। একাদশে কোনো পেসার না রেখে চার স্পিনার নিয়ে নেমেছে তারা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বাংলাদেশ একাদশে স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং নাঈম হাসান। যার মধ্যে অন্যতম ভরসার নাম তাইজুল।
আফগানিস্তান: ৩৪/১ (২১)
আস্থার প্রতিদানও দিলেন তাইজুল। একইসঙ্গে বল হাতে উইকেটের সেঞ্চুরি করে ফেললেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মালিক বনে যান তাইজুল। ক্যারিয়ারের ২৫তম টেস্টে উইকেটের ‘সেঞ্চুরি’ পূর্ণ করলেন তিনি। যা বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম। টাইগারদের দ্বিতীয় সাফল্যটিও এসেছে তার হাত ধরে।
কিংসটন থেকে চট্টগ্রাম, তাইজুলের জন্য কতই না মিলের। সঙ্গে সেপ্টেম্বরের ৫ পাঁচ তারিখটাও। মজার ব্যাপার হল সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ যেন তাইজুলের জীবনে সৌভাগ্যের দিন। ২০১৪’র ৫ সেপ্টেম্বরই সাদা পোশাকে অভিষেক হয়েছিল তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। আরেক ৫ সেপ্টেম্বর তুলে নিলেন টেস্টের শততম উইকেট।
ইসানুল্লাহ জানাতকে সরাসরি বোল্ড করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। স্টাম্পের বেশ দূরে বল পিচ করে টার্ন করান তাইজুল। সেই বল সামনের পায়ে না খেলে পেছনের পায়ে খেলতে যান ইসানুল্লাহ। কিন্তু বল তার ব্যাটে না লেগে সরাসরি আঘাত হানে মিডল ও অফস্টাম্পে।
তাইজুলের আগে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে ১০০ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসান। ৩৩ টেস্ট খেলে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন রফিক। আর ২৮তম টেস্টে উইকেটে সেঞ্চুরি করা সাকিব এই টেস্টের আগে ৫৫ ম্যাচে ২০৫ উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে ২০০ উইকেট নেয়া বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধিও সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের ১২.২ ওভার ও দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই অন্তত এক বা তার বেশি ওভার করে বল করেছেন বাংলাদেশের চার স্পিনারের সবাই।
পরে বাংলাদেশ আরও একটি সাফল্য এনে দেন তাইজুল। ইহসানউল্লাহ জানাতের পর আরেক আফগান ওপেনার ইব্রাহীম জানাতকেও ফেরান তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচে ২১ রানে থাকা জাদরানকে বিদায় করেন তাইজুল।