ম্যাচের চতুর্থদিন পর্যন্ত সম্ভাবনা জাগিয়েও ডাবল সেঞ্চুরি পাননি দুজন ব্যাটসম্যান। তবে একজন বোলার দ্বিশতক ছুঁয়ে ফেলেছেন। বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম রান দেয়ার ডাবল ছুঁয়ে লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন।
তাইজুলের এমন রেকর্ডের দিনে ৭ উইকেটে ৭০৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেলে শ্রীলঙ্কা। তাদের লিড পৌঁছে গেছে ১৯২ রানে।
শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ডাবল হয় তাইজুলের। তার করা ৬৪তম ওভারে একটি রান নিয়ে রেকর্ডে ঢুকিয়ে দিয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা। তাতে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে এক ইনিংসে দুইশ রান খরচের প্রথম নামটি এখন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের।
ইনিংসজুড়ে দারুণ বোলিং করে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করা এ স্পিনার ম্যাচের প্রেক্ষাপটের কারণেই ঢুকে গেলেন না চাওয়া এমন রেকর্ডে! শেষপর্যন্ত যেটি থেমেছে ৬৭.৩ ওভারে ২১৯ রান খরচায়। অবশ্য ইনিংসে ৪টি উইকেটও পেয়েছেন তিনি।
টাইগারদের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান খরচের আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথ মালিকানায়, মোহাম্মদ রফিক ও সোহাগ গাজীর। রফিক ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ১৮১ রান খরচ করেছিলেন ৪৮ ওভার হাত ঘুরিয়ে। আর গাজী ২০১৪ সালে এই জহুর আহমেদেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমান রান বিলিয়েছিলেন ৪৫ ওভার বল করে।
তাইজুলের আগের সর্বোচ্চ খরচের খাতা ছিল ২০১৫ সালে। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭৯ রান দিয়েছিলেন ৫১ ওভারে। সবশেষ সাউথ আফ্রিকা সফরে পচেফস্ট্রম টেস্টে মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৬ ওভার বল করে ১৭৮ দিয়েছিলেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৬ ওভারে ১৭০ রান দিয়ে নিজের সেই রেকর্ডের খুব কাছে আছেন মিরাজ।
তাইজুলের অবশ্য রান খরচের বিশ্বরেকর্ড হয়নি। সেটি অস্ট্রেলিয়ার চাক ফ্লিটউড-স্মিথের দখলে আছে। ১৯৩৮ অ্যাশেজের ওভালে দুই রানের জন্য ট্রিপল সেঞ্চুরি হয়নি তার, ২৯৮ রান দিয়েছিলেন ৮৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে।