হেলমেট পরা অবস্থায় চেহারায় ক্রিস গেইলের সঙ্গে অনেকটা মিল, হাঁটা-চলাতেও তাই, আবার বাঁহাতিও। চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুতে অবশ্য অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্সকে কিছুতেই গেইলের সঙ্গে তুলনা করা যেত না, যদি শেষঅবধি অতিমানবীয় ইনিংসটা খেলে না বসতেন বার্বাডোজের ২৮ বছরের তরুণ! অভিষেকে এমন কীর্তি গড়েছেন মেয়ার্স, যা ১৪৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম, এশিয়াতেও। সারাজীবন এমন কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই ক্রিকেটে মন-প্রাণ ঢেলে দিতে চায় উঠতি তরুণরা।
বাংলাদেশের দেয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে ক্যারিবীয়রা যে ছেলেখেলা করতে পেরেছে, সেটা মেয়ার্সের অপরাজিত ২১০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর করেই। অভিষেকে আগে পাঁচজনের ডাবলের অনন্য কীর্তি থাকলেও সবার চেয়ে আলাদা হয়ে ছয় নম্বর জন, তিনি মেয়ার্স। কারণ আগের ছয়জনের মধ্যে একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনিই, কেবল যার কৃতিত্ব চতুর্থ ইনিংসে দ্বিশতকের।
মেয়ার্সের ডাবল ভেঙেছে এশিয়ান রেকর্ডও। ৩৯৫ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার কীর্তি এখন এশিয়ান মাটিতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড। নিজের ডাবল তো দূরের কথা, এভাবে জিতবে দল- অভিষেকের আগে ভাবতে পেরেছিলেন মেয়ার্স?
মেয়ার্স বলছেন, নিজের প্রতি ইতিবাচক আত্মবিশ্বাসই ছিল তার। বিশ্বাস ছিল দলের প্রতিও, ‘আমরা কখনোই হাল ছাড়িনি। ড্রেসিংরুমে আমরা বলেছি, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। অধিনায়ক আর কোচ বোলারদের বলেছেন, এই উইকেটেই তোমাদের লড়তে হবে। টেস্ট ক্রিকেট খেলে দারুণ এক অনুভূতি হচ্ছে।’
নিজের কীর্তি দিয়ে কেবল রেকর্ড খাতাতেই নয়, মেয়ার্স বেঁচে থাকতে চান অনুপ্রেরণা হয়েও, ‘অভিষেকেই ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো এক ব্যাটসম্যান তরুণদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকতে পারে যে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে খেলতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে।’