সিনেটের ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।
শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে (খেলার মাঠ) ভোটগ্রহণ চলবে।
কেন্দ্রগুলোতে ১ থেকে ১৮০০০ পর্যন্ত (আজীবন সদস্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন ও ১৮০০১ থেকে ৩৭২৩৩ পর্যন্ত (আজীবন সদস্য) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) (আজীবন সদস্য) এবং ৩৭২৩৪ থেকে ৪৩৯৯৭ পর্যন্ত (এককালীন সদস্য) ভোটাররা শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন।
সব কেন্দ্রের ভোটগণনা শেষে ২১ জানুয়ারি এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমাদ এই নির্বাচনের কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন।
এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তিনটি প্যানেলে মোট ৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্য থেকে ২৫ জন সিনেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’ ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘জাতীয়তাবাদী পরিষদ’ থেকে ২৫ জনের প্যানেল দেওয়া হয়েছে। বাম সমর্থিত ‘প্রগতি পরিষদের’ প্যানেল ১৫ জনের।
গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা হলেন: ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল,
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম সরকার, সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এ আর এম মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এইচ এম এনামুল হক চৌধুরী, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ফার্স্ট সহকারী ব্যবস্থাপক এ বি এম বদরুদ্দোজা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মুক্তিযোদ্ধা এম ফরিদউদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বারী, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান খান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী, ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম।
প্রগতি পরিষদের প্রার্থীরা হলেন: অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল মোকাদ্দেম (এম এম আকাশ), সমাজ
বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কে এ এম সাদউদ্দীন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নেহাল করিম, নটরডেম কলেজের সাবেক অধ্যাপক এ এন রাশেদা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক এফ এম বদিউর রহমান, অধ্যাপক এম এ আজিজ মিয়া, সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুর রহিম খান (রুবেল খান), মুক্তিযোদ্ধা আবু কাওসার মো. মাহবুবাল আলম, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার গোপাল চন্দ্র গুহ রায়, ড. নিতাই কান্তি দাস, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক কোষাধ্যক্ষ বিমল মজুমদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু তাহের, মো. আমিনুর রহমান, অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম ও শান্তনু দে।
জাতীয়তাবাদী পরিষদ প্রার্থীরা হলেন: ঢাবি সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, ইংরেজি বিভাগের সুপারনিউমারি অধ্যাপক সদরুল আমিন, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ আবদুর রব, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জেড এন তাহমিদা বেগম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার, ডা. ফরহাদ হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া, ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক এটিএম আবদুল বারী, ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম, কেএম আমিরুজ্জামান, মোহাম্মাদ রফিকুল কবির, মো. সেলিমুজ্জামান মোল্যা, মো. আশরাফুল হক, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, রিলায়েন্স ফার্মার চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, লিগ্যাল একশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম, সাবেক সিনেট সদস্য এবিএম ফজলুল করিম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।