ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করা হবে, কিন্তু এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খোলা হবে না বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে হল না খুললে এই সময়ে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবেন?
এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো কামাল উদ্দিন বলেন: ওখানে শুধু দুটি বর্ষের পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে, স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর। এই দুই বর্ষের শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। কারণ তাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো মার্চে কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি অনুষ্ঠিত হয়নি। আগেই সেশন জটে তারা খানিকটা পিছিয়ে ছিল, এখন করোনার কারণে আরও এক বছর পিছিয়ে পড়ল। ফলে চাকরির বাজার নিয়ে শঙ্কায় তারা। এমন পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই পরীক্ষা দিতে আগ্রহী।
এসব কথা বিবেচনা করেই ঢাবি কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাব্য দিন ঠিক করেছে জানিয়ে তিনি বলেন: ঢাবির শিক্ষার্থীরা হয়তো হলে থাকতো। অনেকের তো মেসে থাকারও ব্যবস্থা রয়েছে। মাস্টার্সেই তিন বছর চলে গেলে চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। সেসব বিবেচনা করেই সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে। পরে বিভাগ নিশ্চয়ই ঠিক করবে কবে থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন: পরীক্ষার নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে বলা হয়নি। মানসিক প্রস্তুতির জন্য একটা সম্ভাব্য তারিখ বলা হয়েছে। এখন বিভাগের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীরা মিলে আলোচনা করে দিন ঠিক করবে। সবার সুবিধা, অসুবিধা বিবেচনা করে কবে- কিভাবে পরীক্ষা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিভাগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন: সভা থেকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে। সেটা জানলেই এই বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকবে না। এটা সম্ভাব্য তারিখ বলা হয়েছে। তবে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে আলোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।