ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন পরিদর্শন শেষে বারিধারা ভারতীয় হাইকমিশনে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৭ জুন) সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং রামকৃষ্ণ মঠ-মিশন পরিদর্শন শেষে সেখানে পৌঁছান তিনি।
সকাল ১০টায় দূতাবাসে পৌঁছানোর পরে মোদি একটি বকুলের চারা রোপণ করে দূতাবাসের চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন। অ্যাম্বুলেন্সটি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ব্যবহার হবে।
সকালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে পৌঁছালে সেখানে মোদিকে অভ্যর্থনা জানান রামকৃষ্ণ মিশন হেড কোয়ার্টারের (কলকাতা) প্রশাসনিক প্রধান স্বামী সুহিতানন্দ, মিশনের ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুভেশানন্দ, স্বামী সুহিতানন্দের ব্যক্তিগত সচিব স্বামী শুভকানন্দ ও স্বামী প্রিয়াতনন্দ।
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের মাধ্যমেই সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তিনি। সেসময় তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে মোদির সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি।
বিকেলে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ হোটেল সোনারগাঁওয়ে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।
সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বক্তৃতা।
রাত ৮টা ২০ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ প্লেনে করে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির।
শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় আসেন। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এ প্রথমবারের মতো তার বাংলাদেশে আসা।