ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কমপক্ষে ১৫জন এবং দৈনিক দেশ রূপান্তরের আলোকচিত্রীসহ দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরোধিতা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ প্রগতিশীল ছাত্রজোটের।
ভারতবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরোধিতা করে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম সংগঠনগুলোর প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ছিলো।
একই সময় ভারত সরকারের বঙ্গবন্ধুকে দেয়া গান্ধি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করায় আনন্দমিছিল ও সমাবেশের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলটি টিএসসি অতিক্রম করার সময় বাধে সংঘর্ষ। জোটের দাবি, মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করার সময় ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার নিন্দা জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
পরে রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সমাবেশে যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা, রাষ্ট্র ও ভারতবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। এই হামলার ঘটনায় আগামীকাল বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করবে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।