ভাই সেতু পাড় হলাম ৬ঘন্টায়! জানাচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী কাঁচামাল পরিবহনকারী ট্রাক চালক আমজাদ হোসেন। তার মতো একই ভোগান্তিতে পড়েছেন এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার পরিবহনের চালক ও যাত্রীসাধারণ।
আর এই তীব্র ভোগান্তির মাত্রা বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল থেকেই এ অবস্থা চলছে বলে জানা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএস) দায়িত্ব পাওয়ার পর পূর্বঘোষণা ছাড়াই সেতুতে টোল আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব সিস্টেম স্থাপনের জন্য রোববার দুপুরে কাজ শুরু করে। সংস্কার কাজের জন্য হঠাৎ করে টোলপ্লাজার ছয়টি বুথের মধ্যে পাঁচটি বুথ বন্ধ থাকায় যানজটের সূত্রপাত হয়। পরে তা মধ্যরাত থেকে তীব্র আকার ধারণ করে।
সোমবার সকাল ৬টার থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকায় টাঙ্গাইলের করটিয়া এবং সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের নলকা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটে আটকা পড়ে বিভিন্ন ধরনের পরিবহন।
মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রাক চালকদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু সেতুতে পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে নতুন সিস্টেমের নামে সেতু পাড় হতে বাড়তি টাকা আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। বাড়তি টাকা আদায়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চালকদের তর্ক-বির্তকের কারণে সময় ক্ষেপনের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।