চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিমের নিয়োগ বিষয়ে আদেশ রোববার

ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের পুনঃনিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষে  আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও আব্দুলল্লাহ আবু সাঈদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।

এই রিটে ওয়াসার বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকসিম এ খানকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি তাকে পুনঃনিয়োগের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সুপারিশ কেন অবৈধ হবে না, সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে তাকসিম এ খানকে ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাবে গত ১ অক্টোবর অনুমোদন দেয় সরকার।

এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা প্রকৌশলী খন্দকার মঞ্জুর মোরশেদ তাকসিম এ খানের পুনঃনিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে স্থানীয় প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ শাখা), ঢাকা ওয়াসা (পক্ষে এমডি) ও ওয়াসার সচিবকে বিবাদী করা হয়।

রিটের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যে কোনো সরকারি পদে সমান সুযোগ থাকতে হবে। অথচ ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। একজনকেই বারবার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে সংক্ষুব্ধ হয়ে আবেদনকারী রিটটি করেছেন। আর ওয়াসার আইনে বলা আছে, কোনো ধরনের সভা করতে হলে সে সভা চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে হতে হবে। কিন্তু গত আমরা জানি গত ১১ সেপ্টেম্বর ওয়াসার চেয়ারম্যান মারা যান। আর ওইসময় ঢাকা ওয়াসা বোর্ডে কোনো ভাইস চেয়ারম্যান ছিল না। তাহলে প্রশ্ন হল, তাকসিম এ খানকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বোর্ড সভাটা কার অনুমতিতে আহ্বান করা হয়? কারণ সভা আহ্বান করার আইনগত কোনো বৈধতা নেই যতক্ষণ না পর্যন্ত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়।’

২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর চার দফায় তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।