বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে দুপুরের ম্যাচে রান তেমন হয়নি। তবে একই পিচে রাতের ম্যাচে দেখা গেল উল্টো ছবি। ১৮৩ রানের পাহাড় গড়েও জিততে পারল না মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের মিনিস্টার ঢাকা। রনি তালুকদার ও আন্দ্রে ফ্লেচারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর থিসিরা পেরেরার অসাধারণ ফিনিশিংয়ে জিতেছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স।
ঢাকাকে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেটে। জয়ের বন্দরে খুলনা পৌঁছায় এক ওভার হাতে রেখে। থিসারা ১৮ বলে ৩৬ ও শেখ মেহেদী ৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শুরু থেকেই মারমুখি ব্যাটিংয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ সহজ করে দেন ফ্লেচার। ক্যাবিরীয় ওপেনারের আগ্রাসনে পাওয়ার প্লে’তে ৬৫ রান তুলে ফেলে খুলনা। ২৩ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। মারেন সাতটি চার ও একটি ছয়।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ফিরে যান। ৪ বলে ২ রান করে বোল্ড হন শুভাগত হোমের বলে। রনিকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়ে দলকে রাখেন লড়াইয়ে রাখেন ফ্লেচার।
পরে মুশফিক জুটি বাধেন রনির সঙ্গে। ১০ ওভারে চলে আসে ১০০ রান। ইবাদত হোসেনের বাউন্সারে উইকেটের পেছনে শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। ইয়াসির আলিকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন রনি। মাত্র ৩১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেন এ ব্যাটার। ৪২ বলে ৬১ রান করে আউট হন। মারেন সাতটি চার ও একটি ছক্কা। ফ্লেচার-রনির পর শেষের কাজটা দারুণ সারেন থিসারা। লঙ্কান বাঁহাতি ব্যাটার ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে এনে দেন অসাধারণ জয়।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ শেহজাদের ঝড়ো শুরু, তামিমের দুর্দান্ত ফিফটি এবং শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওতে ঢাকা পায় বড় পুঁজি। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের সংগ্রহ দাড় করায়।
দলটির আফগান ওপেনার শেহজাদ আট চারে ২৭ বলে খেলেন ৪২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। প্রথম উইকেট জুটিতে দারুণ গতিতে রান তুলছিলেন ঢাকার দুই ওপেনার। শুরুর আট ওভারে ৬৯ রানের মাথায় রানআউটের ফাঁদে পড়েন শেহজাদ। পরে আসরের প্রথম ফিফটি তুলে ফিরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলার পথে হাঁকান চারটি চার। ফেরেন কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হয়ে।
অন্যপ্রান্তে নাঈম খুব ভালো না করতে পারলেও দারুণ শুরু করেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু নিজেকে দুর্ভাগা মনে করতে পারেন তিনি। অদ্ভুতভাবে ৩ বলে ৭ রান করে রানআউটে সাজঘরে ফিরেছেন এই ক্যারিবিয়ান।
শুরুর রানের গতি মাঝে থেমে গেলেও শেষটা রাঙান ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ২০ বলে ৩ ছক্কা আর ২ চারে খেলেন ৩৯ রানের ক্যামিও। বিশতম ওভারে কামরুলের বলে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দলপতি। ৪ বলে ৯ রান করে শেষটা বড় সংগ্রহে টানেন শুভাগত হোম।
খুলনা টাইগার্সদের হয়ে বোলারদের খারাপ দিনেও দুর্দান্ত ছিলেন মেহেদি হাসান। তরুণ এই অফ স্পিনার কোনো উইকেট না পেলেও চার ওভারে খরচ করেছে ২৪ রান। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। একটি উইকেট পেয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার পেরেরা।