করোনাভাইরাসের কারণে এই মুহূর্তে যেসব পোশাক শ্রমিক ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন তাদের ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একইসঙ্গে তাদের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পোশাক কারখানার আশেপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা খোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে ঢাকার বাইরে থেকে কোনো পোশাক শ্রমিককে ঢাকায় না আসার জন্য বলা হয়। এরপর খুলে দেয়া হয় অনেক কারখানা।
কিন্তু দেখা যায় বেতন না পাওয়ার শঙ্কা নিয়ে অনেক শ্রমিক গ্রাম থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। অনেক কারখানা মালিক ফোন করে শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ঢাকার বাইরে থাকা শ্রমিকদের ঢাকায় না আসার অনুরোধ জানানো হয় এবং বলা হয় তাদের বেতন পৌঁছে দেয়া হবে।
গত শনিবার বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক কারখানা খোলার বিষয়টি অবহিত করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে খোলা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে স্বল্পপরিসরে কারখানা খোলার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, শুরুতে রোববার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু কারখানা, ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের কারখানা, ৩০ এপ্রিল রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কাঁচপুর এলাকা, ২ ও ৩ মে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকার কারখানা চালু করা হবে। কারখানা খোলার ক্ষেত্রে শুরুতে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।
এই চিঠি পাওয়ার পর শ্রম মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক একটি চিটি ইস্যু করে। এতে সব ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কারখানা চালু করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।