ইংল্যান্ডে পেশাদার ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করেছেন আগেই। সেখানে ভবিষ্যতও দেখা যাচ্ছে। তবু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার আগ্রহ জাগে। এর পেছনে অন্যতম কারণ রবিন দাসের পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশেই। ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে বিপিএলে অভিষেকের অপেক্ষায় তিনি।
সোমবার মিরপুরে অনুশীলনে ২০ বছরের তরুণকে ঘিরে সংবাদকর্মীদের আগ্রহ ছিল প্রবল। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এ ব্যাটার।
‘আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি’- ভাঙা উচ্চারণে বলেন রবিন। ভালো বাংলা না জানায় আক্ষেপও করেন। জানান দ্রুতই শিখে নেওয়ার ইচ্ছের কথা।
রবিন দাসের বাবা মৃদুল কান্তি দাসের আদি নিবাস সিলেটের সুনামগঞ্জে। ২০২০ সালে শুধু দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে হওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি লিগের ড্রাফটে নাম লিখিয়েছিলেন বাংলাদেশি হিসেবেই। সেবার দল পাননি। এবার লিগ শুরুর আগমুহুর্তে তার সঙ্গে চুক্তি করে ঢাকা।
বিপিএল খেলতে গত শুক্রবার বাংলাদেশে আসেন রবিন। বাবার বাড়িতে ঘুরতে আগেও বেশ কয়েকবার এই দেশে এসেছেন তিনি। তবে তা অনেক আগে। খেলার জন্য এবারই প্রথম এলেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব এসেক্সের টপঅর্ডার ব্যাটার।
চটপটে তরুণ নিজের অনুভূতির কথা জানান, ‘আমি অনেক বেশি রোমাঞ্চিত। এটা আমার বাবার দেশ। তিনি আমাকে বাংলাদেশের বাড়ির কথা বলতেন। তিনি খুবই খুশি যে আমি এই টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছি। পরিবারের সবাইও খুব খুশি, অনেক রোমাঞ্চিত। শুধু আমার পরিবারের সদস্যরাই নয়, আমার এখানের আত্মীয়রাও খুব খুশি। তারা আমাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়েছিল। আমাকে বাংলাদেশে দেখে খুবই খুশি হয়েছে। আশা করি খেলতেও দেখবে।’
গত বছরের জুনে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিং করার সুযোগ হয় রবিনের। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য দুই দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে তার। তবে বিপিএল খেলবেন বিদেশি ক্যাটাগরিতেই।
ঢাকা ডমিনেটরসে বিদেশি ক্রিকেটার শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদ ও উসমান গানির সাথে দেখা যাবে রবিনকে। ঢাকার দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন তাসকিন, মিঠুন, সৌম্যরা।
আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের সিলেট পর্ব। আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্য ওই সুযোগটি কাজে লাগাতে চান রবিন।
‘আমি যখন দলের সঙ্গে সিলেটে যাব, তখন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে (সুনামগঞ্জ) যাওয়ার পরিকল্পনা করব। বাবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। সিলেটে বাবার শহরে খেলতে পারা আমার জন্য বিরাট ব্যাপার হবে।’