রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর ফিরে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে।
ড. কামাল হোসেনের গাড়ি ছাড়াও আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, জগলুল হায়দার আফরিকের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে আ স ম আবদুর রবের গাড়ি চালককে আহত আবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড. কামাল কবর স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন। এসময় তার উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলার সময় তার নেতাকর্মীরা ড. কামাল হোসেনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও বেধড়ক পেটানো হয়। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নীরব দেখা যায় বলে অভিযোগ করেছে ঐক্যফ্রন্ট।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফরিক বলেন, আজকে যারা স্বাধীনতার পক্ষের কথা বলে তারাই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে হামলা চালিয়ে প্রমাণ দিল তারা আসলেই স্বাধীনতার পক্ষে কিনা।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর পরই কামাল স্যার, রব, মান্না ও আমার গাড়িতে হামলা চালানো হয়।
গণফোরামের মিডিয়া প্রধান লতিফুল বারী হামীম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ফেরার পথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ফেরার পথে প্রায় পৌনে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা লাঠিসোটা দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের গাড়ী বহরে হামলা চালায়। এতে ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে জাসদের আ স ম আবদুর রবের গাড়ীচালক খুব বেশি আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া ওই হামলায় ঢাকা-১৪ আসনের (দারুসসালাম, শাহআলী, মিরপুর, রূপনগর ও সাভারের একাংশ) বিএনপির প্রার্থী এসএ সিদ্দিক সাজুও আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি
এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেল তিনটায় পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান গণফোরামের মিডিয়া প্রধান লতিফুল বারী হামীম।