গ্রামীণ কল্যাণের সাবেক ১০৬ কর্মী শ্রমিককল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে মুনাফার অধিকারী বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১০৬ কর্মীর আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ে (স্ট্যাটাসকো) স্থিতাবস্থা দেন। সেই সাথে বিষয়টি ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। আর ১০৬ কর্মীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এসংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
গ্রামীণ কল্যাণের সাবেক ১০৬ কর্মী শ্রমিককল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে মুনাফা (২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত) পেতে শ্রম আইনের ২৩১ ধারায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। গত ৩ এপ্রিল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এবিষয়ে রায় দেন। যেখানে ২০০৬ সাল থেকে ওই ১০৬ কর্মী শ্রমিককল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিলের মুনাফা পাওয়ার অধিকারী বলে রায় দেয়া হয়। এই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাইকোর্টে রিটটি করেন।
সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩১ মে হাইকোর্ট রুল জারি করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন।
হাইকোর্ট তার রুলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সাবেক ১০৬ কর্মীর আপিল বিভাগে আবেদন করলে গত ২২ জুন আপিল বিভাগ হাইকোর্ট দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন। গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ এ-সংক্রান্ত রুল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য যে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান।