সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেলক্ষেত্রে হাউদি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার পর বিশ্বের তেলেরবাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ি করলেও তা অস্বীকার করেছে তেহরান।
এ ড্রোন হামলার জবাব দিতে তার দেশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ। হামলার নিন্দা জানিয়ে সৌদি আরবের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শনিবার ভোরে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বড় স্থাপনায় ড্রোন হামলার পর এভাবে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে তেলক্ষেত্রগুলো। বেশ কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে ইয়েমেনের হাউদি বিদ্রোহীরা।
সৌদি আরব তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া না জানালেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ ঘটনার জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ি করেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইরানের প্রচ্ছন্ন মদদেই তাদের সমর্থিত হাউদি বিদ্রোহীরা এ হামলা চালিয়েছে।
অস্বীকার করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ভবিষ্যতে তার দেশের বিরুদ্ধে যে কোন পদক্ষেপ নিতেই এ ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। ইরানের রিভোলিউশোনারী গার্ড বাহিনীর এক কর্মকর্তা কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সকলের জানা উচিত তার দেশের আশপাশে যুক্তরাষ্ট্রের যতগুলো সেনাঘাঁটি ও বিমানবাহী রণতরী রয়েছে তার সবই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে। তার দেশ পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরামকোর তেলক্ষেত্রে হামলার পর সৌদি আরবে দৈনিক অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ৫৭ লাখ ব্যারেল কমে গেছে। যা সৌদির মোট তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের ৫ শতাংশের বেশি। দ্রুত এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এর বিরুপ প্রভাব বিশ্ববাজারে পড়ার আশঙ্কা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
তেলক্ষেত্রে হামলার পর সরাসরি কাউকে দোষারোপ না করলেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, ড্রোন হামলার জবাব দেয়ার সক্ষতা ও প্রস্তুতি রয়েছে তার দেশের। তারপরও নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তার দেশ। সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটিকে সহায়তার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।