শুধু আনন্দ আর খেলার উদ্দেশ্যে এবং ছোট ছোট কাজে এতোদিন ব্যবহার হয়ে আসছে রিমোট কন্ট্রোল চালিত ছোট ড্রোন। কিন্তু ‘সহজ, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর আকাশযান’ হিসেবে জঙ্গি হামলার কাজেও যে কোনো দিন ব্যবহার হতে পারে ডিভাইসগুলো।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা রিমোট কন্ট্রোল প্রজেক্ট। ড্রোন তৈরির সময় ‘নো ফ্লাই জোন’গুলোর (যেসব এলাকার ওপর দিয়ে কোনো ধরণের আকাশযান চালনা নিষিদ্ধ) জিপিএস অবস্থানও প্রোগ্রামে যুক্ত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
এছাড়াও বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের উচিত ড্রোন নিয়ন্ত্রণে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার ব্যবহারে কঠোর আইন শিথিল করা।
পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে ড্রোনের লাইসেন্স দেয়ার ব্যাপারে আরো সতর্ক হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। কেননা বর্তমান লাইসেন্সিং আইন অনুসারে যে কেউ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন কিনতে পারবে। বাজারে এ ধরণের হাজারটা ড্রোন রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও অপরাধী গ্রুপ ইতোমধ্যে ছোটখাটো হামলা এবং গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্য সাধারণ ড্রোন ব্যবহার করেছে। ‘তাই ড্রোনের ধ্বংসাত্মক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো আগে থেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরিসরে পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেয়া।
এসব ব্যবস্থার মধ্যে থাকতে পারে:
- বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোনের ভার বহনের সীমা নির্ধারণ।
- নো ফ্লাই জোনে ড্রোন ঢুকলে যেনো সেসব অঞ্চলে বিপদসঙ্কেত চলে যায় তেমন প্রোগ্রাম তৈরি।
- তুলনামূলক কম ধ্বংসাত্মক অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
এসব ক্ষেত্রে সরকারকে সচেতন হয়ে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান গবেষকরা।