অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে অবস্থান করা ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র ভানুয়াটু। দেশটিতে এই প্রথম ড্রোনের সাহায্যে শিশুদের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইউনিসেফ সময়ের অপচয় এবং শিশুদের অপুষ্টিহীনতা রোধ করতে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য দেশটিতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উঁচু পাহাড় জুড়ে ড্রোন চালানোর ব্যবস্থা করেছিল।
বিবিসি প্রতিবেদনের তথ্যমতে, প্রত্যন্ত অঞ্চল দেখে এত বছর ভানুয়াটু শহরে প্রায় ২০ শতাংশ শিশু গুরুত্বপূর্ণ এই ভ্যাকসিনগুলো থেকে বঞ্চিত থেকেছে।
তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ড্রোনের সাহায্যে ভ্যাকসিন সরবরাহের এই উদ্যোগ নিয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের একটি শিশু সংগঠন।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে ড্রোনের মধ্যে দিয়ে ভ্যাকসিন পদ্ধতি খুবই কার্যকরী।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে কঠিন রোগের প্রতিরোধের জন্য ড্রোন প্রযুক্তিগুলির ব্যবহার একটা অভিনব আবিষ্কার, যার মধ্য দিয়ে সহজেই পৃথিবীতে শেষ যে শিশু জন্মগ্রহণ করবে তার কাছেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছাতে পারে’।
ইউনিসেফ থেকে বলা হচ্ছে, ‘এর আগে ওষুধ সরবরাহের কাজে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলেও, বিশ্বব্যাপী এই প্রথম প্রত্যন্ত এলাকায় বাণিজ্যিক ড্রোন কোম্পানি ভ্যাকসিনের চুক্তিবদ্ধ হয়েছে’।
বলা হয়েছে প্রথম হলেও অপুষ্টির কারণে মারাত্নক আক্রান্ত ভানুয়াটু প্রকল্পটির জন্য দুটি কোম্পানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও অষ্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক কোম্পানিটি এই কাজে এগিয়ে এসেছে।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় নার্স মরিয়ম নামপিলের তত্ত্বাবধানে ভানুয়াটু এলাকায় প্রাথমিকভাবে ১৩ জন শিশু এবং পাঁচজন গর্ভবতী নারীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
মরিয়ম জানায়, ড্রোন না থাকলে এই এলাকায় পায়ে হেঁটে এবং নৌকার মাধ্যমে আসতে হতো ফলে একটা শিশু এবং গর্ভবতী মাকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন ছিল। ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারে খুব সহজেই ভ্যাকসিন এই এলাকায়গুলোতে পৌঁছাতে পারছে।