মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের সাইত্রিশ ব্রিজ এলাকার কৃষক শওকত হোসেনের ড্রাগন ফলের বাগানে ১৩০টি পিলারে প্রায় ৫শ’ গাছে ঝুলছে লাল রং এর ড্রাগন ফল।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের পরামর্শে গত বছর ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ড্রাগন ফল চাষ করেন তিনি। প্রথম বছরই তার আয় হয় দু’লাখ টাকা। এ বছর বিক্রি করবেন প্রায় তিন লাখ টাকার ফল।
বাজারে প্রতি কেজি ড্রাগন ফলের দাম চারশ’ টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ড্রাগন ফল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। শওকত হোসেনের দেখাদেখি ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার অনেকে।
ড্রাগন ফল চাষে খরচ যেমন কম, তেমনি পরিশ্রমও কম হয়। সামান্য পরিচর্যাতেই গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে ও ফল ধরে। এমনটাই জানান মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে অনায়াসে দু’লাখ টাকা লাভ করতে পারেন।
আমিনুল ইসলাম আশা করেন, মাগুরার কৃষকদের এই সাফল্য দেখে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও ড্রাগন ফল চাষে এগিয়ে আসবে। আর্থিক ও বাণিজ্যিকভাবে এ ফলের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
জেলায় এ পর্যন্ত ড্রাগনের প্রায় ১৮টি বাগান গড়ে উঠেছে। আগামীতে এ ফলের বাগান আরো সম্প্রসারণের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হর্টিকালচার সেন্টার।