ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমলেও প্রতিদিনই মৃত্যু ঘটছে। এর কারণ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোগীদের শকে যাওয়াকে দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা।
সারা বছরই সমন্বিতভাবে মশা নিধন না করলে আগামি বছর জটিলতা আরও বাড়বে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তারা।
৪৫ বছর বয়সী বাস চালক মনসুর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এক দিনের জ্বরে রক্তচাপ কমে শকে চলে যান তিনি। একিউট মেডিসিন বিভাগে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেলে চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই সুস্থ্য।
দ্বিতীয় দফায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় এক দিনের জ্বরে শকে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, প্রথমবার ডেঙ্গু হলে এনএস-ওয়ান পজিটিভ হবার হার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ডেঙ্গু হলে এনএস-ওয়ান পরীক্ষার পজিটিভ হবার হার নেমে আসে ৪০ থেকে ৫০ ভাগে।
শকে যাওয়া ডেঙ্গু রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা নিয়ে রানডোমাইজ কন্ট্রোল বা আরো বিশেষায়িত চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা।
বড় কোন জরিপ না থাকলেও চিকিৎসকরা বলছেন, চলতি বছর বেশিরভাগ মানুষই দ্বিতীয় দফায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সময়মত হাসপাতালে না আসা অথবা নিজে চিকিৎসা নেয়ার কারণে মৃত্যু বেশি হয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: