রাজধানীতে ভাইরাল জ্বর ছাড়াও টাইফয়েড ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। বর্ষা পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ আরো বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ডেঙ্গু ও ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তদের অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা ব্যথ্যানাশক ওষুধ না খেতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন।
কখনো মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখনো রোদে উজ্জল কিংবা ভ্যাপসা গরমের এক পরিবেশ। সব মিলিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থা। মূলত আবহাওয়ার তারতম্য এবং বাতাসে আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পরিসংখ্যান অনুয়াযী, গত ছয় মাসে প্রায় সাড়ে ৪শ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে পানি জমে ডেঙ্গু মশার প্রজনন বিস্তারের অনুকুল পরিবেশ থাকায় সহজেই ডেঙ্গু মশার বিস্তার হচ্ছে। বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা।
তীব্র জ্বরের সঙ্গে ব্যথা ও শরীরে লালচে উগসর্গ থাকলে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, এখন ডেঙ্গু জ্বর যেমন বেড়ে যাচ্ছে তেমনিভাবে অন্যান্য জ্বর বাড়ছে। এ সময়ে জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং আক্রান্ত রোগীর বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মাত্র এক শতাংশ ওই রোগে ভুগেছেন বছরের প্রথম ছয় মাসে। সাতচল্লিশ শতাংশ সংক্রমণ ঘটেছে বর্ষাকালে আর বর্ষা পরবর্তী সময়ে যখন পানি জমা থাকে তখন ৫২ শতাংশ।
শহীদ সোহওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানান, জ্বর বা ব্যথা হলেই রোগীর ব্যথানাশক ওষুধ খায় কিন্তু ডেঙ্গু হলে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। আর ডেঙ্গু রোগীদের জন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দরকার হয় না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন।