ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা চলমান রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর ছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমী জ্বরের প্রকোপ চলছে। তাই সব রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই।
একইসঙ্গে ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে বাস-ট্রেন বা লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের আগে যানবাহনে মশা না থাকা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৭ বছরের জিম জেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে জিমের মা তাহেরা বেগমও জ্বরে আক্রান্ত হন। রক্ত পরীক্ষায় তার প্লাটিলেট এক লাখ ৭০ হাজার থাকার পর আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জ্বর মানেই ডেঙ্গু এমন আতঙ্কে অনেক রোগী হাসপাতালে ভিড় করছেন। এ বাস্তবতায় রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইর্ন্টানি চিকিৎসকরা প্রচারণা চালাতে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান। ডেঙ্গুর বাহক এডিশ মশার উৎপত্তি ও ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ এবং কখন হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনায় বিভিন্ন তথ্য দেন।
ইতোমধ্যে দেশের ৬৩ টি জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ৫৬২ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫০৬ জন। এই বাস্তবতায় শ্রমিক ফেডারেশনের মাধ্যমে সকল পরিবহন মালিকদের বাস-ট্রেন-লঞ্চে যাত্রার আগে মশা নিধনে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হবে।
মেডিসিন চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর হলে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। আর সব জ্বরের রোগীদের অযথা হাসপাতালে ভর্তির জন্য ভীড় না করে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।