সাম্প্রতিক সমস্যা ডেঙ্গুসহ দায়িত্বশীলদের আচরণ ও কর্মকাণ্ড বিষয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা।
ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দীর্ঘ প্রশ্ন-উত্তর পর্ব চলে।
জানুয়ারি মাসে চিকিৎসকদের আগাম সতর্কবার্তা ছিল, ছিল হাইকোর্টেরও নির্দেশনা। এরপরেও কেন দুই সিটি কর্পোরেশন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দিকে এরকম নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
টানা ১১ বছর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার পরও এমন সমন্বয়হীনতা কেন, এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কোন বিষয় নেই। যখনই কোন ঘটনা ঘটছে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাজ করছি।
সব বিষয়েই যদি প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হয়, তাহলে দায়িত্বশীলরা তাদের কাজে গাফিলতি দেখাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন: বিষয়টা এমনভাবে দেখলে হবে না। জরুরি অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিচ্ছেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ ব্যবহার করতে দুই সিটি করপোরেশনকে ওবায়দুল কাদেরের দেয়া নির্দেশনার পরেও কেনো অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না, সিটি কর্পোরেশন কি তাহলে লোক দেখানো অভিযান করছে, জানতে চাইলে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন: শুধু দুই মেয়রকে দোষারোপ করলে চলবে না। তারা এখন কাজ করছেন।
এতো এতো সতর্কবার্তা থাকার পরেও দুই মেয়র এতো দিন নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা, এই প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন: আমি শুধু বলতে চাই, তারা এখন কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকলেও নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছেন। একথা বলেই উপস্থিত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানাক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, একে এম এনামুল হক শামীম, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।