চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ডেইলি স্টারের রজত জয়ন্তীতে শাণিত ভূমিকার প্রত্যাশা

নিরপেক্ষ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার ঐতিহ্য ধরে রেখে সামনের দিনে ডেইলি স্টারের কাছে দেশ গড়ার কাজে আরো শাণিত ভূমিকা প্রত্যাশা করেছে দেশের বিশিষ্টজনেরা।

গত ২৫ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিতে শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে স্বকীয় অবস্থান অর্জনে পত্রিকাটির উদ্যোক্তা-ব্যবস্থাপকসহ সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা। আগামীতে বিষয়ভিত্তিক আরো সমৃদ্ধ পরিবেশনাও চান পত্রিকাটির কাছে।

ইংরেজী দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার’র যাত্রা শুরু হয় ১৯৯১ সালের ১৪ জানুয়ারি। সেই থেকে কৃষি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, দূষণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে পাঠকের ক্ষুধা মিটিয়ে চলেছে দেশের শীর্ষ এই ইংরেজি দৈনিক।

তার পথচলায় সমৃদ্ধ করেছে বাংলাদেশের সংবাদজগৎ, নতুন প্রজন্মের বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের পত্রিকা পড়ার অভ্যাসও গড়েছে তারা। নৈর্ব্যক্তিক অবস্থান ধরে রাখতে গিয়ে সময় সময় অনেকের বিরাগভাজনও হতে হয়েছে দ্যা ডেইলি স্টারকে।

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘এই পত্রিকা প্রচার সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি হয়ে বাংলাদেশে আছে। সরকার অভিযোগ করেছে উনি আমার বিরুদ্ধে যাচ্ছে কেন? এটা তো পত্রিকা; দুই সাইড থেকে এমন আক্রমণ হয়, তারপরও কিন্ত  সে সঠিকভাবে তার কাজ করছে।’

তথ্য প্রযুক্তিসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব দেয় ডেইলি স্টার। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ১৯৯১ সালে ডেইলি স্টার যেদিন প্রথম প্রকাশ হলো তারপর থেকে আমি এই পত্রিকার নিয়মিত পাঠক। কোন দলীয় ভঙ্গি থেকে না থেকে যে কোন বিষয়ে তারা বিশ্লেষণ করে।

ভিন্ন মেজাজের পাঠকের চাহিদা মেটাতে ২০ পৃষ্ঠার পত্রিকাতে বিষয়ভিত্তিক পরিবেশনা থাকে নিয়মিত। শিক্ষা উন্নয়ন কর্মী রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমাদের মতো একটি দেশে ২৫ বছর ধরে একটি ইংরেজি দৈনিক শুধুমাত্র নিজের অবস্থানটাকে ধরে রেখেছে তা নয়; মানুষের জন্য কথা বলেছে আর সমাজ পরিবর্তনের কথা বলে চলেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যু নিয়ে ডেইলি স্টারসহ সব গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচার চান পরিবেশ উন্নয়ন কর্মীরা। পরিবেশ উন্নয়ন কর্মী ড. আতিক রহমান বলেন, বার বার পত্রিকায় আসলে যেটা হয় যারা নীতি-নির্ধারক যারা সিদ্ধান্তটা নিবেন তাদের কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয়। একটা ঘটনা ঘটলে সেই রিপোর্ট পত্রিকায় পত্রিকায় ছাপলে সেটা কী অবস্থায় আছে সেটা জানা যায়।

অতীত ঐতিহ্য ধরে রেখেই উন্নয়ন সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ডেইলি স্টার সম্পাদকের।

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহাফুজ আনাম বলেন, ‘আমি একেবারেই নত শিরে স্বীকার করি যে আমাদের সাংবাদিকতায় এখনো অনেক দূর্বলতা আছে। অনেক ত্রুটি আছে কিন্ত আন্তরিকতার কমতি নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এটুকু বলবো অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে যে, স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশটা একটু সংকীর্ণ হচ্ছে।’

শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১১টায় ডেইলি স্টার পত্রিকার রজত জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ।