৭৭ রানে নেই ৭ উইকেট। পরিস্থিতি এমন যে, একশ রানের দেখা পাওয়াও মনে হচ্ছিল বড্ড কঠিন। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার কেবল শামীম হোসেন পাটোয়ারিই। এই তরুণের একার লড়াইয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে গেল রংপুর রাইডার্স। খেললেন ২৪ বলে ৫৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের ফাইনালে যেতে ফরচুন বরিশালকে করতে হবে ১৫০ রান।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে (অলিখিত সেমিফাইনাল) মিরপুরের গ্যালারিতে দর্শকের কমতি ছিল না। তবে ব্যাট হাতে কোনঠাসা হয়ে পড়া দেখে শুরুতে হতাশ হতে হয়েছে রাইডার্স ভক্তদের। ১৬ ওভার পর্যন্ত চরম কোনঠাসা হয়ে কাটাতে হয়েছে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজে। শেষের ৪ ওভারে অবশ্য পুষিয়ে দিয়েছেন শামীম। আবু হায়দার রনিকে সঙ্গে নিয়ে তুলেছেন ৬২ রান।
২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা শামীম অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। ৫টি করে চার ও ছয়ের মার ছিল তার ইনিংসে।
শুরুর ৫ ব্যাটারের মধ্যে জিমি নিশামই কেবল দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন। ইনফর্ম কিউই ব্যাটার ২২ বলে ২৮ রান করেন ৫টি চারের সাহাজ্যে। শেখ মেহেদী (২), সাকিব আল হাসান (১), রনি তালুকদার (৮), নিকোলাস পুরান (৩) সিঙ্গেল ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন।
নিজের প্রথম ওভারে মেহেদী ও সাকিবকে আউট করে শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন মোহাম্মদ সাউফউদ্দিন। কাইল মেয়ার্স ফেরান রনিকে। পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসায় ফায়দা তুলতে পারেনি রংপুর। ক্যারিবিয়ান তারকা পুরানকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। নিশামকে আউট করে প্রথম সাফল্য পান জেমস ফুলার। পঞ্চাশের আগেই রংপুর হারায় ৫ উইকেট।
এরপর ফুলার জোড়া শিকারের দেখা পান ইনিংসের ১৫তম ওভারে। মোহাম্মদ নবী (১২) ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে (১৪) ফিরিয়ে দেন দ্রুতই। ৭৭ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর শামীমের ব্যাটে বদলে যায় দৃশ্যপট। ৯ বলে এক ছক্কায় ১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে শামীমকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আবু হায়দার। অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা যোগ করেন ৭২ রান। দুজন মিলে মোকাবেলা করেন ৩১ বল।