দীর্ঘ ১১ বছরের সংসার ভেঙে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির কাছে বিচ্ছেদ চাইলেন তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী। নওয়াজকে ইতিমধ্যেই ডিভোর্সের নোটিশ পাঠিয়েছেন আলিয়া।
জানিয়েছেন, নওয়াজের দেয়া আলিয়া সিদ্দিকী নামটিও আর ব্যবহার করবেন না। এখন থেকে আগের নাম অঞ্জনা আনন্দ কিশোর পান্ডে ব্যবহার করবেন তিনি।
এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, আগের নামে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কারণ তিনি চাননা কেউ এটা ভাবুক যে ডিভোর্সের পরে তিনি নওয়াজউদ্দিনের নাম ভাঙিয়ে চলছেন। অন্যের পরিচয়ে তিনি চলতে চাননা।
তিনি আরো বলেছেন, এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়। বিয়ের পর থেকেই নানা সমস্যা শুরু হয়েছিল। লকডাউনের দুই মাসে তিনি সব কিছু নিয়ে ভালো করে ভাবার সময় পেয়েছেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন।
৭ মে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর কাছে ডিভোর্স চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী। তবে নওয়াজউদ্দিনের কাছ থেকে এখনও কোনো উত্তর পাননি তিনি। আলিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন যদি ১৫ দিনের মধ্যে কোনো সাড়া না দেন, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নিবেন তারা।
২০০৯ সালে নওয়াজউদ্দিন ও আলিয়ার বিয়ে হয়। তাদের এক মেয়ে শোরা ও এক ছেলে ইয়ানি সিদ্দিকি রয়েছে। আলিয়া হলেন নওয়াজউদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী।