ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিলে সই করলেও সংশোধনী আনা সম্ভব।
দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার পরিবেশ না থাকায় উত্থাপন করা হয়নি। তার মানে এই নয় যে, আলোচনা শেষ হয়ে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্পাদক পরিষদ এই আইন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ করতেই পারেন, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে তিন মন্ত্রী নিয়ে তাদের বক্তব্যে হৃদয়ে ক্ষরণ হয়েছে।
সাংবাদিকসহ নানা মহলের সমালোচনার মধ্যেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জাতীয় সংসদে বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর কন্ঠভোটে পাস হয়।
এতে ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট’ অন্তর্ভুক্ত করে এর পরিধি আরো বাড়ানো হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ ওই আইন ভঙ্গ করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার সাজা হবে। আইনের আওতায় সর্বোচ্চ সাজা হবে ১৪ বছরের কারাদণ্ড। আইনে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও তল্লাশির ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
গত ২৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। তখন থেকেই আইনটি নিয়ে আপত্তি ওঠে।
সম্পাদক পরিষদ এই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানায়। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচিও ঘোষণা করে দেশের শীর্ষ সম্পাদকদের সংগঠনটি।
তবে তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সম্পাদক পরিষদ তাদের ঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
ওই বৈঠকেও মন্ত্রীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন সম্পাদক পরিষদের আপত্তি ধারাগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
কিন্তু ৮ অক্টোবর ওই বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করেন। এর ফলে বিলটি আইনে পরিণত হয়।