গুলশান থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর মানহানির অভিযোগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন যুবলীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’
ওই ঘটনায় রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে মইনুল হোসেন জমিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সেই থেকে কারাগারে সাধারণ বন্দী হিসেবেই ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। পরে ২৯ অক্টোবর আদালত তাকে ডিভিশন (প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা) দেয়ার নির্দেশ দেন।