বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দূর হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এলাকাবাসী। এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে পানি নিষ্কাশন খালগুলো। শেষ হয়েছে কয়েকটি মূল খালেরও খনন কাজ।
বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা আর বছর জুড়ে পচা পানির দুর্গন্ধই ছিলো ডিএনডি এলাকায় ২০ লাখ এলাকাবাসীর নিত্য দুর্ভোগ। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ডিএনডি প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে দৃশ্যমান হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিতে এলাকার মানুষ। তবে প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণে ভোগান্তিও আছে।
১৯৬২ সালে ঢাকার শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা আর নারায়ণগঞ্জ সদর মিলে গঠন করা হয় ডিএনডি সেচ প্রকল্পটি। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে কলকারখানা আর বাসা-বাড়ির বর্জ্যে ভরে গেছে সেচ প্রকল্পের পানি নিষ্কাষণ খালগুলো। আর রাসায়নিক বর্জ্যের সংস্পর্শে এসে সেচ পাম্পগুলো হয়ে পড়ে বিকল।
প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল ও আদমজী নগরে দুটি পাম্প হাউজ আর পাগলা, ফতুল্লা ও শ্যামপুরে তিনটি পাম্পিং প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ৭৯টি কালভার্ট, দুটি ক্রস ড্রেন, ১২টি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ ছাড়াও আছে ৫২টি ব্রিজ ও কালভার্ট মেরামত, সংযোগ খাল পুনঃখনন ও খালের তীর উন্নয়ন।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব, স্যুয়ারেজ সিস্টেম আর খালের তলদেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ আর পানির লাইন থাকায় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় বেশী লাগছে।
আরও দেখুন জাকিয়া হিমু’র ভিডিও রিপোর্টে: