ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস নিয়ে ভারতের অতীতে মাথাব্যথা ছিলো। এবার যেনো এই সমস্যা তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিআরএস-এর বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।
অভিযোগের তীর বেঙ্গালুরু টেস্টের চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে মিচেল মার্শের এলবিডব্লিউ নিয়ে। ম্যাচের ৭৯তম ওভারে এলবির ফাঁদে পড়েন মিচেল মার্শ। এ সময় ড্রেসিংরুমের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ রিভিউ নেয়ার জন্য মার্শের দিকে বারবার ইশারা করতে থাকেন। টেস্ট ক্রিকেটের নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৮০তম ওভার থেকে উভয় দল নতুন করে দুটি রিভিউ পেয়ে থাকে। এতে আগের কোন রিভিউ যদি বাকি থাকে, ৮০তম ওভারের পর সেগুলো অকার্যকর হয়ে যায়। স্মিথ সেই বিষয়টিই মার্শের দিকে ইশারা করতে থাকেন। রিভিউ কাজে লাগুক না লাগুক মার্শ একটা ঝুঁকি নিতেই পারেন, সেটাই হয়তো বোঝাতে চাচ্ছিলেন স্মিথ।
সেসময় বিষয়টির বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপের আবেদন করেন কোহলি। ব্যাপারটি তাদের আওতার বাইরে বলে এড়িয়ে যান আম্পায়াররা। এই আইনটি তাতিয়ে তুলেছে ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের। তারা আইসিসির কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছে। ম্যাচ শেষে কোহলি স্মিথের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইলে স্মিথ ‘মস্তিষ্ক বিভ্রম’ বলে এড়িয়ে গেছেন।
পরে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছেন কোহলি। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের ‘মস্তিষ্ক বিভ্রম’ অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি তার।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যেও সম্পর্কের রশি টানাটানি শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। ভারতীয় কাপ্তান কোহলির অভিযোগকে ভয়াবহ বলেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সান্ডারল্যান্ড। এখন দেখার আইসিসি কি ব্যাখ্যা দেয়। তাতে ঘোলা পানি হয়তো আর বেশিদূর নাও গড়াতে পারে।