অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে গত সোমবার ৩ কোটিরও বেশি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী রত্না রহমান, পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর মাহবুবুর রহমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই সঙ্গে ডিআইজি মিজান ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগ ঠেকাতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশের সব সীমান্তে ইমিগ্রেশনে জরুরি সতর্কবার্তাও পাঠানো হয়।
২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘তুলে নিয়ে বিয়ে করলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার’ শিরোনামে মিজানের বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পরে বিষয়টি তোলপাড় সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর পর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।
ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য পাচারের অভিযোগে ইতোমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দুদক।
এছাড়া ‘ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না’ মর্মে গত ১৬ জুন এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।