ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় তার সাথে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ নামের একজনকেও আসামী করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন।
সোমবার এ মামলার শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে: আসামিরা ফেসবুক লাইভে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং যেকোন নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষার ব্যবহার করেছেন।
গত ১ ডিসেম্বর রাতে ফেসবুকে একটি লাইভ টকশোতে অতিথি হন মুরাদ। ওই লাইভ টকশো’র সঞ্চালক ছিলেন নাহিদ।
এজাহারে আরও বলা হয়, ধারণকৃত টকশো’টি পরে মুরাদ হাসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করে জিয়া পরিবার তথা জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক এবং আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হলো।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন টকশো ও অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য এবং অডিও ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডা. মুরাদ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। একইসঙ্গে তিনি জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান। এরপর কয়েকদিন অগোচরে থেকে দেশ ছেড়ে কানাডায় গেলেও সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি তাকে।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য। পেশায় চিকিৎসক এ রাজনীতিবিদ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। ২০১৯ সালের মে মাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।