চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ডা. মিলনের কাঙ্খিত গণতন্ত্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি: বাংলাদেশ ন্যাপ

দীর্ঘ প্রায় তিন দশকে নির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ পরিচালিত হলেও শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের কাঙ্খিত গণতন্ত্র দেশে আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ।

পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ডা. মিলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করে মিলন জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। স্বপ্ন দেখেছেন, বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিশ্বাসী একটি রাষ্ট্র, যেখানে শ্রেণিবৈষম্য থাকবে না, বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তাই জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি চিকিৎসকদের পেশাগত আন্দোলনও সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে।

আগামীকাল ২৭ নভেম্বর শহীদ ডা: শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, সারা দেশ ও দেশের রাজনীতি আজ লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। চারদিকে দুর্নীতিবাজদের কালো থাবার কারণে সরকারের উন্নয়ন জনগনের মন স্পর্শ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকারে চাইতেও দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা সিন্ডিকেট অনেক বেশী শক্তিশালী।

তারা বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ডা. মিলন আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক জনতার হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছেন। সেখান থেকে তাকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই। দেশ-জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে ডা. মিলনের আত্মত্যাগের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেমিক জনতার মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

তারা আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বারবার আমাদের টগবগে তরুণরা জীবন বাজি রেখে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য, আমাদের সন্তানদের রক্তস্রোতে অর্জিত জাতীয় অর্জনগুলো আজও ভূলুণ্ঠিত। তরুণেরা আজ অসুস্থ ও সুবিধাবাদী রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

তারা বলেন, ডা. মিলনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার। আজ সেই অধিকারও প্রশ্নবিদ্ধ। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে গণতন্ত্রকে মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।