জগমোহন ডালমিয়া। রোববার রাত থেকে এই ক্রিকেট প্রশাসক শুধুই এক ইতিহাস। জীবন স্মৃতির পাতায় ভারত তথা পুরো বিশ্বেই উজ্জ্বল হয়ে থাকবে সফল এই ক্রিকেট প্রশাসকের নাম। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও বেশি। কারণ, ২০০০ সালের ২৬ জুন টেস্ট খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নেওয়ার পেছনে তার অবদানই সবচেয়ে বেশি।
এমন একজন কৃতজ্ঞতাচিত্তে সে কথা স্বীকার করছেন যিনি সেসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবচে বড় কর্তা ছিলেন। বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী তার এই বন্ধুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বারবারই জানাচ্ছেন হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা।
কাকরাইলে নিজের অফিসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা শুরুর আগে জানালেন, তার অসুস্থতার খবর পেয়েছিলাম আমি। আবার মাঝে শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল শুনে ভালো লাগছিলো, কিন্তু গতরাতে সব শেষ হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সংবাদটি বিমর্ষতায় আক্রান্ত আমি।
এরপর সাবের চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে জগমোহন ডালমিয়ার অবদান কোনো সময়ই অস্বীকার করা যাবে না। টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের ঘটনা থেকে শুরু করে বাংলাদেশে আইসিসি নকআউট ওয়ার্ল্ড কাপ, এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ক্রিকেটের সম্পর্ক উন্নয়ন সব কিছুতেই ভূমিকা ছিলো ডালমিয়ার।
‘তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন অকৃত্রিম বন্ধু হারালো,’ বলে মন্তব্য করেন ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, এম,পি।
ডালমিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব শেষ সময় পর্যন্তও একইরকম অটুট ছিলো বলে উল্লেখ করেন এখন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সাবের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রসঙ্গে তাদের মধ্যে সবশেষ কি কথা হয়েছিলো? জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সবশেষ কথা ছিলো বাংলাদেশ ভারতের ক্রিকেট সম্পর্ক নিয়ে। কেনো বাংলাদেশ ভারতে গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ পাচ্ছে না এ বিষয়ে।
‘ডালমিয়া আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছিলো, বাংলাদেশ অবশ্যই সে সুযোগ পাবে সেটা তুমি আমার উপড় ছেড়ে দাও,’ বলে আরো একবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন: আমি মনে করি ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সহ-স্বাগতিক হওয়া এবং আগামী বছর ভারতের সঙ্গে ভারতের মাটিতে প্রথম যে টেস্ট সিরিজ তা অবশ্যই ডালমিয়ার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্কের কারণেই।