ডারবানে সাউথ আফ্রিকার সাড়ে তিনশ পেরোনো সংগ্রহের পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্রুতই সাদমান ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। শুরুর চাপ সামাল দিয়ে নাজমুল ইসলাম শান্ত ফিরলে অধিনায়ক মুমিনুল হকও তাকে অনুসরণ করলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচ রির্পোট লিখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮৩ রানে ৩ উইকেট। ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
দলীয় ২৫ রানের মাথায় ৩৩ বলে ৯ রান করে হার্মেরের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সাদমান। ৮৭ বলে ২ জয় ও ২ চারে ৩৮ রানে হার্মেরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শান্ত। সেই হার্মেরের কাছেই নিজেকে সপে দিয়ে দলের বিপদ বাড়িয়ে অধিনায়ক ফিরেছেন কোনো রান না করেই।
শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নেমে আগেরদিনের রানের সাথে আরও ১৩৪ যোগ করে প্রোটিয়া দল। দিনের শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রানে থামেন ডিন এলগাররা।
৪ উইকেটে ২৩৩ রানে দ্বিতীয় দিনের শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। ২৪৫ রানের মাথায় ২৮ রান করা কাইল ভেরেইন্নেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন খালেদ। পরের বলেই উইয়ান মুল্ডার গালিতে জয়ের দর্শনীয় ক্যাচে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান। টাইগার পেসারের সামনে আসে হ্যাটট্রিকের সুযোগ। মহারাজ অবশ্য সেটি কাটিয়ে দেন।
পরে কেশভ মহারাজকে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে নিচ্ছিলেন বাভুমা। ৭৭ রানে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় স্লিপে তার ক্যাচ নিতে পারেননি ইয়াসির। সুযোগ পেয়েও সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটার। ৯৩ রান করে কাটা পড়েন মিরাজের ঘূর্ণিতে। তার পরের ওভারেই মহারাজকে বোল্ড করেন ইবাদত।
সেখান থেকে নবম উইকেট জুটির প্রতিরোধ। ৩৪ রানের সেই জুটি ভাঙেন খালেদ। জয়ের অসাধারণ ক্যাচে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত লিজার্ড উইলিয়ামস। পরের উইকেটেও প্রতিরোধ দেখান প্রোটিয়া টেলএন্ডাররা।
ডুয়ানে অলিভিয়ের ও সাইমন হার্মার মিলে শেষ উইকেটে যোগ করেন ৩৫ রান। তাতে সাড়ে তিনশ পেরোনো পুঁজি পেয়ে যায় দলটি। শেষে ১২ রান করে মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হন অলিভিয়ের।
খালেদ আহমেদ ৪ উইকেট নেন। মিরাজ ৩টি ও ইবাদত নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।