এক দশক ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নাজমুল হাসান পাপন। সামনেই নির্বাচন। আবার কি তাকে দেখা যাবে বিসিবির মসনদে? এ প্রশ্নে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘বলা খুব কঠিন।’
আসন্ন নির্বাচনের ধরন বদলাতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘এবার বোর্ড মিটিংয়ে ১ তারিখ বা ২ তারিখ যখনই হয়, সেদিন একটু ধারণা পাবেন আপনারা ইলেকশন নিয়ে, এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবারের নির্বাচন অন্যান্যবারের মতো নাও হতে পারে। আশা করি এটা এক্সেপ্টেড হবে, যেমনটা আমি প্রস্তাব করেছি।’
স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করে নাজমুল হাসানকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন চিকিৎসক। বললেন, ‘ক্রিকেটে অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। আমাদের বোর্ড থেকে জালাল ভাই গেল নিউজিল্যান্ড, ববি ভাই গেলো জিম্বাবুয়ে। ওনারা জানেন, ওনারা অবাক হয়ে গেছেন। ভোর থেকে তো খেলা দেখেছিই, ওনাদের ওখানে ৭টা বাজলে ফোন দিয়েছি, ব্রেকফাস্টের আগে সবার সাথে কথা বলা, তারপর টিম নিয়ে কথা বলা। আসলে ক্রিকেট খুব সময় নিয়ে নিচ্ছে।’
‘আমার একটা খারাপ দিক হচ্ছে, হারলে হারটা আমি মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, হারলে আমার বৌ-বাচ্চা সামনে আসে না। ডাক্তার আমাকে বারবার বলেছে ক্রিকেট থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরে সরে যেতে।’
তিন বছর পর বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা। ২০১৭ সালে নাজমুল হাসান দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এটি বিসিবির প্রথম বার্ষিক সভা।
আগামী সেপ্টেম্বরে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হবে। ১ অথবা ২ সেপ্টেম্বর হবে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির শেষ সভা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া।