দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এমনই একজন গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম।
সোমবার সকালে শহীদুল্লাহ হলে ভোট দিয়ে কেন্দ্রের বাইরে এসে হাসিখুশীভাবেই ডাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা বলছিলেন তিনি।
ভোট কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ভোট কেন্দ্রের ভেতর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ভোটাররা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছেন। মোবাইল বন্ধ রেখে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হচ্ছে এবং আইডি কার্ডে পাঞ্চ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে জাল ভোট কিংবা কারচুপির কোনো উপায় নেই।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভোট দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করছেন তিনি।
শহীদুল্লাহ হলের ভোট কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। একটি লাইনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার কারণে লাইন ছাড়িয়েছে হলের বাইরের রাস্তায়ও।
তবে এ দীর্ঘ লাইনকে সাজানো বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। তাদের অভিযোগ, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোট প্রয়োগে ব্যঘাত ঘটাতে একটি নির্দিষ্ট মহল মিথ্যে সারি সাজিয়ে রেখেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ লাইন থাকা স্বত্ত্বেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার প্রবেশে ধীরগতি রয়েছে। তবে পরিচয় পত্র দেখে দেখে ভোটারদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এ হলের ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
ভিপি পদের প্রার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নূরুল হক নূর শহীদুল্লাহ হলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, একটি ছাত্র সংগঠন যারা হলে প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে, তাদের নেতৃত্বে ভোটার ছাড়াও অন্যদের দিয়ে দীর্ঘ জটলা তৈরি করে রেখেছে। তাদের কর্মীদেরকে লাইনে দাঁড়িয়ে জটলা সৃষ্টির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের একটি লাইন থাকা স্বত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক বাড়তি মানুষ প্রশাসনের সামনে আশে-পাশে ঘোরাফেরা করছে।
তবে এমন অভিযোগগে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনভাবেই একজন শিক্ষার্থীর দুইবার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। আর যারা সকাল থেকে লাইনে অপেক্ষা করছেন তাদের সবাই ভোটার।
ছবি: জাকির সবুজ